সাধারণ তথ্য

কোরবানী দেওয়ার নিয়ম ও কোরবানির জন্য কেমন পশু ক্রয় করতে হয়

পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে আসতেছে আর এই পবিত্র ঈদুল আযহা নিয়ে মানুষের মাঝে কোরবানির গরু কিনা নিয়ে অনেকেই কোরবানির পশু দেখা শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন হাটবাজারে, তবে এই পবিত্র ঈদুল আযহা কিভাবে মুসলিম উম্মার কাছে এসেছে তা সকলেরই জানা আছে। তবে কোরবানি কত ভাবে দেওয়া যায় সেটা অনেকেই জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকে। তবে কোরবানির কত ভাগে বা কত ভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে।

কোরবানি কত নিয়মে দেওয়া যায় সেটা জানার জন্য আপনারা যারা অনলাইনে অনুসন্ধান করতেছেন, তাদেরকে বলব আপনারা বর্তমান ঠিক জায়গায় রয়েছেন। এখান থেকে আপনারা কোরবানি নিয়ে হাদিস গুলো এই আর্টিকেল থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং কোরবানির নিয়ম কানুন সম্পর্কে জেনে নিন।

কোরবানি দেওয়ার নিয়ম

কোরবানি নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের নিয়ম বলে থাকে হাদীস ও কোরআন শরীফ থেকে তবে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরীফে দেওয়া আছে। আপনারা পবিত্র হাদিস ও কুরআন শরীফ থেকে জেনে নিতে পারেন, তবে বর্তমান সময়ে মানুষ সবাই সচেতন কারণ সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে, আর একটি স্মার্টফোন হাতে থাকলে পৃথিবীর সমস্ত খবর পাওয়া যায় এক মুহূর্তেই তবে আপনি যেহেতু কোরবানি দেওয়ার নিয়মকানুন সম্পর্কে জানার জন্য এই আর্টিকেলে আসছেন। সেহেতু আপনাকে এই আর্টিকেলে স্বাগতম নিচে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলো —

গরু বা উট কয়ভাগে ভাগে কোরবানি দেওয়া যায়। ছাগল দিয়ে ভাগে কোরবানি করা যায় না এবং এর প্রচলনও নেই। এর কারণ ছাগল আকারে ছোট এবং বাজার দরে গরুর থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যায়।

অনেক সময় দেখা যায়, আগে ভাগে গোশত খাওয়ার জন্য ইদের নামাজের আগেই কোরবানি করে ফেলা হয়। অথচ ইদের নামাজের আগে কোরবানি করলে কোরবানি হবে না। জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী করিম (সা.) কোরবানির দিন (প্রথমেই) নামাজ আদায় করেন। তারপর তিনি খুতবা দেন। এরপর (কোরবানির পশু) জবাই করেন। তিনি ঘোষণা দেন—নামাজের আগে যে ব্যক্তি পশু জবাই করবে, তাকে নামাজের পর আরেকটি পশু জবাই করতে হবে।(বুখারি, হাদিস : ৯২৮, ৬৮৮৪)।

কোরবানির জন্য কেমন পশু ক্রয় করতে হয়

কোরবানির জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার পছন্দের প্রিয় ও ভালো মানের কোরবানি কিনতে হবে, কোরবানি পশু সবচাইতে ভালো হয় বাড়ির পালা ছাগল অথবা গরু, আপনি আপনার পছন্দের প্রিয় পশুদিয়ে কুরবানী দেওয়া অনেক ভালো, এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলে কোরবানি দেওয়ার জন্য কেমন কোরবানি করায় করতে হবে, তা নিয়ে কিছু আলোচনা নিচে তুলে ধরা হলো —

গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানি করা যায়। যথা: ভেড়া, ছাগল, দুম্বা, গরু, মহিষ ও উট। এই ছয় প্রকার পশু দ্বারা কোরবানি করা যায়, এ ছাড়া অন্য কোনো পশু দ্বারা কোরবানি করা যায় না। হালাল বন্য পশু দ্বারা কোরবানি করা যাবে না; যদিও তা কেউ লালন-পালন করে থাকুক না কেন। যেমন: হরিণ, কেউ যদি কোনো হরিণের বাচ্চা ছোটবেলা থেকে গৃহপালিত পশুর মতো পালতে থাকে, তবু তা দ্বারা কোরবানি হবে না। কারণ স্বভাবত এরা গৃহপালিত নয়। কোরবানির জন্য ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স এক বছর হতে হয়; গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর এবং উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। দুম্বার এক বছর পূর্ণ না হলেও যদি এক বছরের মতো হৃষ্টপুষ্ট হয় তাহলে চলবে। উল্লিখিত পশুগুলো নর-মাদি যা-ই হোক না, তা দ্বারা কোরবানি হবে। কোরবানির পশু তরতাজা ও হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। কোনো খুঁত থাকলে সে পশু দ্বারা কোরবানি আদায় হবে না। যেমন: লেজের বা কানের বেশির ভাগ অংশ কাটা থাকা, অন্ধ বা এক চোখ কানা হওয়া, এক পা খুঁড়িয়ে চলা বা চলনশক্তিহীন হওয়া, উভয় শিং বা কোনো এক শিং মূল থেকে উত্পাটিত হওয়া। অর্থাৎ এমন কোনো খুঁত বা অপূর্ণতা, যার দ্বারা এটির উপযোগিতা কমে যায় ও মূল্য হ্রাস পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button