বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম মানুষের জীবনে চলার পথে অনেক বাধাঁ আসে, কেউ বাধাঁ সহ্য করতে পারে, আর কেউ পারে না । তাই বিভিন্ন সময়ে ইসলামি মনীষীগন সমাজের উপর ভিত্তি করে ইসলামিক উক্তি বা বানী প্রদান করেছেন ।
সুতরাং আমাদের চলার পথে মনীষিগন যে উক্তি বা বানি প্রদান করেছেন যুগে যুগে যেন আমরা সহজ সরল পথে চলতে পারি। যেমন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ ( সা: ) যে উক্তি বা বানী প্রদান করেছেন যা বিশ্বমানব জাহানের জন্য কল্যাণকর এরকম করে আরো অনেক মনিষী ইসলামের বানী বা উক্তি প্রদান করেছেন ।
৫৩০ টি ইসলামের সেরা উক্তি :
নিম্নে আলোচনা করা হলো এই পুরো আর্টিকেল জুরে ইসলামের সেরা উক্তিগুলো তাই আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশাকরি ।
১। আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।( হযরত মোহাম্মদ (সা:) )
২। তোমার যা ভাললাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে। ( হযরত আলী (রাঃ))
৩। কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ।(হযরত আলী (রা:))
৪। সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ (হযরত আলী (রাঃ))
৫। পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক ।( হযরত আলী (রাঃ)
৬। বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে ।( হযরত আলী (রাঃ)
৭। আপনি যদি আপনার মূল্য সঠিকভাবে বুঝতেন, তাহলে কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ কর্মে লিপ্ত হতেন না। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৮।সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো ? সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো। (ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ)
৯।আমাদের জীবনে করা বড় ভুল কখনও কখনও আমাদেরকে পরিবর্তন করে দেয় সবচেয়ে ভালো মানুষে।( হযরত আলী (রাঃ)
১০। বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না । (হযরত আলী (রাঃ)
১১। বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে।(হযরত আলী (রাঃ)
১২। পূর্ণ অর্জন অপেক্ষায়, পাপ বর্জন করা শ্রেষঠতর।( হজরত আলী (রাঃ)
১৩। এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে। ( আইনস্টাইন)
১৪। ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও।( হযরত সোলায়মান (আঃ)
১৫। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন ।( হযরত আলী (রাঃ)
১৬। ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন ।( হযরত আলী (রাঃ)
১৭। স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বগ সুখ আর কিছু নেই ।(হযরত আলী (রাঃ)
১৮। যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না ।(হযরত আলী (রাঃ)
১৯।যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না! ”
২০। অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে । ( হযরত আলী (রাঃ)
.২১। যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না ।( হযরত আলী (রাঃ)
২২। মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু । (হযরত আলী (রাঃ)
২৩।বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে। (হযরত আলী (রাঃ)
২৪। অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ।(হযরত আলী (রাঃ)
২৫। লক্ষ টাকা দানের চেয়ে এক টাকা ঋন পরিশোধে উত্তম ।( আল হাদীস)
২৬। হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের ।( হযরত আলী (রাঃ)
২৭। যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে ।( আল হাদিস)
২৮। মানুষের ভিতরে এমন একটি অংশ আছে ওই অংশটি যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু যদি ওই অংশটি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেই অংশটি হলো ”আত্মা”। (আল হাদিস)
২৯। মাতা পিতাকে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার সন্তান সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও।( আল হাদিস)
ইসলামের সেরা ১৩০ টি উক্তি
৩০। শিক্ষা অর্জনে সূদুর চীন দেশে যেতে হলে যাও ।( আল হাদিস)
৩১। সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর ।( আল হাদিস)
৩২। সন্তান তাঁর নামে পরিচিত হবে যার শয্যায় সে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ।( আল হাদিস)
৩৩। সত্যবাদীরা সুকর্মের পথ দেখায় আর সুকর্ম বেহেশতের পথ দেখায় ।( আল হাদিস)
৩৪। যে-ব্যক্তি বাক্যে কর্মে ও চিন্তায় সত্য নয়, সে প্রকৃত প্রস্তাবে সত্যনিষ্ঠ নহে । (আল হাদিস)
৩৫। জুলুম ও অত্যাচারী লোক কিয়ামতের দিন অন্ধ হইয়া উঠিবে । (আল হাদিস)
৩৬। রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ ।( আল হাদিস)
৩৭। উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে ।(আল হাদিস)
৩৮। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত ।(আল হাদিস)
৩৯। ধণী হওয়া ধনের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে মনের তৃপ্তির উপর ।(আল হাদিস)
৪০। ধনের যদি সদ্ব্যবহার করা হয়, তবে ইহা সুখের কারণ এবং সদুপায়ে ধনবৃদ্ধি করিতে সকলেই বৈধভাবে চেষ্টা করিতে পারে। (আল হাদিস)
৪১। নামাজ জান্নাতের চাবিকাটি । ( আল হাদিস)
৪২। রমজান আল্লাহর ইবাদতের এক অভূতপূর্ব ট্রেনিং স্বরুপ ।( আল হাদিস)
৪৩। “ রোজা মানুষকে সটিক পথে নিয়ে আসে । ( আল হাদিস)
৪৪। রোজার পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন ।(আল হাদিস)
৪৫। রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম ।( আল হাদিস)
৪৬। রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয় ।( আল হাদিস)
৪৭। ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন ।(আল হাদিস)
৪৮। কোন মুমিন পুরুষ যেন কেন মমিন স্ত্রীকে তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা না করে। তার আচার আচরনের কোনো একটি অপছন্দনীয় হলেও অন্যটি সন্তোষজনক হতে পারে। ( আল হাদিস)
৪৯।ধৈর্য এমন একটি গাছ, যার সারা গায়ে কাটা কিন্তু ফল অত্যন্ত মজাদার ।( আল হাদিস)
৫০। সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে ।(আল হাদিস)
৫১। সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর ।( আল হাদিস)
৫২।পাচটি ঘটনার পূর্বে পাচটি জিনিসকে মূল্যবান মনে করবেঃ তোমার বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দরিদ্রতার পূবে সচ্ছলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পুর্বে জীবনকে ।( আল হাদিস)
৫৩। যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না ।( হযরত আলী (রাঃ)
৫৪। যে বিষয়ে মনে খটকা লাগে সে বিষয়টা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। (ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৫৫। এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৫৬। যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই। (ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৫৭। যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন। (ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৫৮ নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন।( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৫৯। সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ ।(হযরত আলী (রাঃ)
৬০। যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না ।(হযরত আলী (রাঃ)
৬১। আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই। তারপর সেই মানুষকে ভয় পাই যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না ।( আল হাদিস)
৬২। তোমরা দ্বীনের দাওয়াত সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, বিতশ্রদ্ধ করো না ।( আল হাদিস)
৬৩। অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয় ।( হযরত আলী (রাঃ)
৬৪। অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ।( হযরত আলী (রাঃ)
৬৫। ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন।( আল হাদীস)
৬৬। রমজান আল্লাহ ও বান্দার মাঝে নিতান্ত গোপন ইবাদত তাই এর মাধ্যমে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক দৃঢ়তর হয় ।( আল হাদিস)
৬৭। দারিদ্র্যের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা ইহার অভিশাপ মানুষকে কাফেরে পরিনত করে। ( আল হাদিস)
৬৮। পার্থিব বস্তুর আধিক্যকে ধন বলা যায় না। মানসিক সন্তোষই প্রধান ধন। ( আল হাদিস)
৬৯। তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনিতো ( আল্লাহ) অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত । (আল হাদিস)
৭০। ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা । ( আল হাদিস)
৭১। রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করে । ( আল হাদিস)
৭২। রোজার মাধ্যমে আচার-আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয় । ( আল হাদিস)
৭৩। রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে। (আল হাদিস)
৭৪। রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল । ( আল হাদিস)
৭৫। রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয় । ( আল হাদিস)
৭৬। যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালা তাহার উপর রহমত বর্ষণ করে না । (আল হাদিস)
৭৭। তোমরা মদপান থেকে বিরত থাক। কেননা এটি যাবতীয় অপকর্মের চাবি। ( আল হাদিস)
৭৮। কৃপণ ব্যক্তি খোদা হইতে দুরে, লোকসমাজে ঘৃণিত ও দোজখের নিকটবর্তী । (আল হাদিস)
৭৯। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন । ( আল হাদিস)
৮০। উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে । ( আল হাদিস)
৮১। স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে তোমরা কল্যাণের উপদেশ গ্রহণ কর। কেননা তাদেরকে তৈরীই করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে, আর পাজরের যা সবচেয়ে বক্র তা উপরের অংশে থাকে। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও তবে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি এমনি ছেড়ে দাও তবে তা চিরদিন বক্রই থেকে যাবে। অতএব, তাদের ব্যাপারে কল্যাণের অসিয়ত গ্রহণ কর। । ( আল হাদিস)
ইসলামের সেরা ১৩০ টি উক্তি
৮২। স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে তোমরা কল্যাণের উপদেশ গ্রহণ কর। কেননা তাদেরকে তৈরীই করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে, আর পাজরের যা সবচেয়ে বক্র তা উপরের অংশে থাকে। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও তবে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি এমনি ছেড়ে দাও তবে তা চিরদিন বক্রই থেকে যাবে। অতএব, তাদের ব্যাপারে কল্যাণের অসিয়ত গ্রহণ কর। ( আল হাদিস)
৮৩। লোকমান (রহ বলেন: মানুষ যখন গর্ব করে সুন্দরভাবে কথা বলার মাধ্যমে; তুমি তখন গর্ব কর নীরবতা সহকারে অন্যের কথা সুন্দরভাবে শোনার মাধ্যমে।
৮৪। যখন অনেক উঁচু স্তরে পৌঁছে যাও তখন নিচের দিকে তাকাও যেন দেখতে পাও কারা তোমাকে এ পর্যায়ে পৌঁছতে সাহায্য করেছে। আর আকাশের দিকে তাকাও যেন আল্লাহ তোমার পদযুগল স্থির রাখেন। অর্থাৎ যেন আল্লাহ তোমার এ মর্যাদা ধরে রাখেন।
৮৫। অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়। (হযরত আলী (রঃ)
৮৬। ইহকাল ভুলে যারা পরকালে মত্ত হয়ে আছে চলে যাক সব পরপারে বেহেস্তে তাদের আমরা থাকবো এই পৃথিবীর মাটি জলে নীলে, দ্বন্দ্বময় সভ্যতার গতিশীল স্রোতের ধারায় আগামীর স্বপ্নে মুগ্ধ বুনে যাবো সমতার বীজ । (রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ)
৮৭।পাচটি ঘটনার পূর্বে পাচটি জিনিসকে মূল্যবান মনে করবেঃ তোমার বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দরিদ্রতার পূবে সচ্ছলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পুর্বে জীবনকে । ( আল হাদিস)
৮৮। নিচ লোকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য । ( হযরত আলী (রা)
৮৯। কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৯০। আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৯১। নিশ্চয়ই একজন লোকের কোন কাজ ছাড়া অযথা বসে থাকা দেখতে আমি ঘৃণা করি, যখন সে দুনিয়ার জীবনের জন্য কোন কাজ করছে না, এমনকি আখিরাতের জন্যও কিছু করছে না। (আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ ( রাদিয়াল্লাহু আনহু )
৯২। কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত।( ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি ( বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ ৮৬)
৯৩। তাঁর (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার) পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি শাস্তিই সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচার এবং তাঁর পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি কল্যাণ পরিপূর্ণভাবে তার দয়া (রাহমাত)। ( ইমাম ইবনে তাইমিয়া (মাজমু’ ফাতাওয়া, ১০/৮৫)
৯৪।যে স্থানে থাকা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে আপনার উপস্থিতি এবং যেখানে থাকতে আল্লাহ আদেশ করেছেন সেখানে আপনার অনুপস্থিতির ব্যাপারে সাবধান হোন। ( আবু হাজিম (আল-হিলইয়াহ, ৩/২৩৪)
৯৫। নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি একাই একটি শহর দখল করে ফেলে তার চেয়েও শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে নিজের কামনাকে জয় করে। (সুলাইমান বিন দাউদ ( হিলইয়াহ আল-আউলিয়া, ৬/১৭০৭)
৯৬। আপনি যেদিন উপলব্ধি করবেন ইসলামের জন্য কী বিশাল পরিমাণ কাজ করা প্রয়োজন অথচ হাতে কতটা কম সময় রয়েছে, সেদিন বুঝতে পারবেন ছুটির দিন কাটানোর মতো কোন সময় নেই। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
৯৭। এখনকার তরুণদের সমস্যা হলো, তারা যখনই নতুন কিছু শিখে তখনই মনে করে তারা সব জেনে ফেলেছে। ( মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি (রাহিমাহুল্লাহ)(সিলসিলাত-উল-হুদা ওয়ান-নূর, পৃ ৮৬১)
৯৮। তাওহীদ হলো সমস্ত দোয়া, সমস্ত কান্নাকাটি, সাহায্য চেয়ে সমস্ত আবেদন, সমস্ত আশা এবং সকল কল্যাণের আগমন ও সকল ক্ষতি নিবারণের জন্য প্রার্থনা অন্য কেউ নয় বরং কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হতে হবে। ( ইমাম মুহাম্মাদ আলী আশ-শাওকানী (আল দূর আল-নাদিদ)
৯৯। দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর। ( মুহাম্মাদ (সা)
১০০। যখন তুমি দেখবে, নামাজের মধ্যে তোমার অন্তর উপস্থিত থাকছে না, তখন বুঝে নেবে, এটা ইমানের দূর্বলতার কারণ। কঠোর পরিশ্রম করো নিজের ঈমানকে মজবুত করার জন্য। ( ইমাম ইবনু কুদামাহ আল মাকদিসি (রহ.)
১০১। সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়। ( আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
১০২। তারা আমাদের ভাই-বোনদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে চায়, অথচ আমাদের পেছনে রয়েছে বদর, খন্দক, তাবুকের মতো শত শত স্মৃতি। ( কবি আল মাহমুদ)
১০৩। আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না। ( উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
১০৪। লোকের প্রশংসায় আনন্দিত হতে এবং লোকের নিন্দায় দুঃখিত হতে আপনার অন্তরকে প্রশ্রয় দেবেন না। ( ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ)
১০৫। নারী-পুরুষের জৈবিক ভালোবাসাকে প্রমোট করতে হয় না। এটা এমনিতেই (সৃষ্টিগতভাবে) প্রমোটেড। এটাকে বরং কন্ট্রোল করতে হয়। ( ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর )
১০৬। আপনি যদি ইসলামকে চর্চা না করেন, দয়াকরে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে আসবেন না । ( ডা: জাকির নায়িক)
১০৭। সত্যিকার বন্ধুরাই জান্নাতে (একে অপরের) প্রতিবেশী হতে চায়। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১০৮। আপনার পাপগুলো আল্লাহর দয়া থেকে বড় নয়। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১০৯। মাঝে মাঝে দুঃখের দ্বারা আমারা এমনভাবে দগ্ধ হই যে আমারা ভুলেই যাই এমন অনেক বিষয়, যা আমাদের সুখী করতে পারে। কিছু সময় নিয়ে সেগুলো সম্পর্কে চিন্তা করুন। ( শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক)
ইসলামের সেরা ১৩০ টি উক্তি
১১০। সর্বশক্তিমান কখনোই ঐ ব্যক্তির ভুল প্রকাশ করবেন না যে মানুষের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা থেকে বিরত থাকে। তাই অন্যের পাপ প্রকাশ করা বন্ধ করুন। ( শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক)
১১১। অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১১২। আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১১৩। নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১১৪। যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১১৫। যে বিষয়ে মনে খটকা লাগে সে বিষয়টা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১১৬। কথা বলা যদি রূপা হয় তবে নীরব থাকা হচ্ছে সোনা। ( লুকমান (আ:)
১১৭। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তাঁকে নিরবে ডেকে যাওয়া বান্দাদের হতাশ করেন না। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১১৮। পৃথিবীর জীবনটা তিনটি দিনের– গতকালের দিনটিতে যা করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সেটি চলে গেছে; আগামীকালের দিনটিতে হয়ত আপনি না-ও পৌছতে পারেন; কিন্তু আজকের দিনটি আপনার জন্য সুতরাং যা করার আজই করে নিন। ( ইমাম আল-হাসান আল-বাসরী (রহ)
১১৯। আসক্তের মতো ভালবাসবেন না, ধ্বংসাত্মকভাবে কাউকে ঘৃণা করবেন না। ( উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ)
১২০। যে বিপদ-আপদ ও মুসিবত আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেয়, তা সেই রাহমাতের চাইতে উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে দেয়। ( ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)
১২১। দুনিয়া অর্জন নয়, দুনিয়া বিমুখীতাতেই রয়েছে দেহ ও মনের প্রশান্তি। ( উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)
১২২। আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা যতই বৃদ্ধি পেতে থাকবে, দুনিয়ার প্রতি আপনার ভালোবাসা ততোই কমতে থাকবে। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১২৩। কখনো কখনো আল্লাহ তা’আলা আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেন শুধু এজন্যই যে আমরা যেন তাকে স্মরণ করি। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১২৪। সেক্যুলাররা যৌনতাকে প্রমোট করে, আর ইসলাম কন্ট্রোল করতে বলে। উভয়টার ফল ও পরিণতি সবার সামনে পরিস্কার। ( শাইখ আহমাদুল্লাহ)
১২৫। যদি শরীর প্রদর্শনই (বেপর্দাই) হয় আধুনিকতা, তাহলে পশুরাই সবচেয়ে বেশি আধুনিক । ( ডা: জাকির নায়িক)
১২৬। সন্ত্রাসবাদ কখনোই কোন ধর্মীয় অধিকার নয়। আর ইসলাম সবসময়ই সাধারণ মানুষ হত্যাকে ঘৃণা করে। তাই কেউ চাইলেই এসব হত্যাকান্ডকে ইসলামাইজ করতে পারে না। ( ডা. জাকির নায়িক)
১২৭। দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১২৮। মানুষের খারাপ দিক খোঁজা বন্ধ করুন৷ তাদের ভুলগুলো সহজভাবে গ্রহণ করুন৷ তাদের সাথে ধৈর্যশীল হোন৷ পরিষ্কার একটি হৃদয়ের জন্য সংগ্রাম করুন এবং তাদের ভেতরের ভালটা দেখুন ৷ ( শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক)
১২৯। যখন আপনি কুরআন তিলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথোপকথন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন। ( ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ:)
১৩০। যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১৩১। এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১৩২। কখনো কখনো মানুষ আপনাকে বয়কট করবে, দূরে সরিয়ে দিবে, তবে এগুলোকে পার্সোনালি নিয়ে ভেঙ্গে পড়বেন না। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা হয়তো ওদের দিক থেকে দূরে সরিয়ে তাঁর নিজের দিকেই আপনাকে ডাকছেন। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১৩৩। আল্লাহর কাছে আপনি প্রার্থনা করা বন্ধ করে দিলে তিনি রাগান্বিত হন। অথচ আদম সন্তানের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সে রেগে যায়। ( ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
১৩৪। আপনার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন। ( ড. বিলাল ফিলিপ্স)
১৩৫। কোন ভাই যদি আপনাকে গোপনে কিছু কথা বলে চলে যাবার আগে যদি তা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ না করেও থাকেন, তবু কথাগুলো আপনার জন্য আমানাত।
শেষ কথা : ইসলামের এই উক্তিগুলো যদি ভালো লাগে, তাহলে শেয়ার করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। |