বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর 1972 সালে স্যার ফজলের হাসান আবেদ ব্রাক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশের 64 জেলা ছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও ব্রাকের ১৩ টি দেশে কার্যক্রম রয়েছে ব্র্যাকের দাবি অনুযায়ী বর্তমান প্রায় এক লক্ষ কর্মী কাজ করে থাকেন এদের মধ্যে প্রায় 70% নারী কর্মী ব্রাক সারা পৃথিবীর অন্যতম ও সবচেয়ে বড় এনজিওর একটি প্রতিষ্ঠান যার সৃষ্টি ও প্রতিষ্ঠা উভয়ই বাংলাদেশী বর্তমানে ব্রাকে একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়নমূলক সংস্থা ব্রাকের পরিষেবার আওতায় প্রায় ১২৬ মিলিয়ন লোক আছে।
ব্র্যাক সাধারণত কৃষি উন্নয়ন মৎস্য সমবায় গ্রামীণ কারুশিল্প বয়স্কদের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা নারী জন্য উন্নয়ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণে এই বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণত ব্রাকএনজিও কাজ করে থাকে ব্র্যাক সাধারণত বেশিরভাগ দরিদ্র ভূমিহীন গ্রামীণ নারীদেরকে মুক্ত ঋণ সরবরাহ করে এবং তাদের আয় করতে এবং জীবনমান উন্নয়ন করতে সহযোগিতা করে চিকিৎসা খাতে ও ব্রাক দরিদ্র ভূমিহীন মানুষদেরকে তাদের নিজস্ব সহযোগিতায় দরিদ্র ভূমিহীন মানুষদের চিকিৎসা ব্যবস্থার করেন ব্র্যাকের সহযোগিতায় অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ব্র্যাকেরও অবদান রয়েছে।২০১২ সালের শেষের দিকে তালিকা অনুযায়ী ব্রাকের প্রায় ২২,৭০০টি আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৬৭,০০,০০০ শিশু পড়ালেখা করতেছে
এই বিদ্যালয়গুলি দেশের সব এনজিওর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির তিন চতুর্থাংশ ব্রাকের শিক্ষা কর্মসূচি বিশেষ করে দরিদ্র গ্রামীণ ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের এবং শিক্ষা হতে বাইরে থাকা ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষা দেয় এই এনজিওটি সাধারণত এক কক্ষে একজন শিক্ষক এবং ৩৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি শ্রেণী গঠিত হয় এর পাঠদান মূল বিষয়গুলির মধ্যে গণিত সামাজিক গবেষণা এবং বাংলা সহ শিক্ষা প্রদানে পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের তারা খাদ্য প্রদান করে থাকে লেখাপড়া ও কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের আংশিক বৃত্তী প্রদান করে থাকে বাংলাদেশে পুরুষদের চেয়ে মহিলা উপস্থিতি কম তাদের স্কুলগুলোতে নারী শিক্ষা ও নারী উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে বেশি যার ফলে ৬০% নারী তাদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে
ব্র্যাক প্যারামেডিকেল এর মাধ্যমে তারা চিকিৎসা গত প্রাথমিক সেবা প্রদান করে থাকে ব্রাক নারীদের উন্নয়নে অভিরাম কাজ করেই চলছে। ২০০২ সাল থেকে নারীদের এসিড নিক্ষেপ এর প্রতি প্রতিবাদ করে এসেছে ব্রাক যার ফলে প্রতিবছর এসিড নিক্ষেপ (১৫-২০) % হ্রাস পেয়েছে সামাজিক সহযোগিতায় ব্রাকের অবদান অনেক তিন লক্ষ গ্রাম গঠন করা হয়েছে তাদের প্রতিটি একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে 35 থেকে 50 জন মহিলা রয়েছে ৮০ হাজার গ্রামের প্রায় সবই ব্র্যাকের নিয়ন্ত্রণে ১৪ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং 2800 টি শাখা অফিসের একটি বিশাল ব্যবস্থা বাজেটের সাথে সারাদেশের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ৭০% স্বাবলম্বী এখন সংস্থাটিতে যে উৎপাদনশীল উদ্যোগগুলি প্রতিষ্ঠা করছে তার পরিসর থেকে মুনাফা পায় ব্রাকচ জুতা এবং স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ থেকে আয় করে এই ক্ষুদ্র উৎপাদন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে যার ফলে দরিদ্র হ্রাস পায় সংস্থাটির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরবরাহ করে এবং যখন তাদের সাহায্যের প্রয়োজন তাদের সমর্থন করে তাদের এ সকল কর্মকাণ্ডের কারণেই ব্রাক সংস্থাটি অনেক বড় হয়ে উঠেছে এবং মানুষের জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সর্বোপরি বলা যায় যে ব্রাক গরীব দুঃখী এবং অতি দরিদ্র ভূমিহীন মানুষের সহায়তা করার জন্য কাজ করে ব্রাক একটি গরীব-দুঃখীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতার প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্রের হার অনেক কমে এসেছে শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া ব্রাকের অবদান অনেক ২০০২ সালে আফগানিস্তানে কার্যক্রম শুরু করার মাধ্যমে ব্রাক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার কর্মসূচি প্রসারিত করে ওই সময় থেকে এশিয়া এবং আফ্রিকার আট টি দেশে ব্রাক দরিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে তার উদ্বোধনী শক্তি এবং বহুমুখী বিস্তার কর্মসূচির অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে দরিদ্র দূরীকরণ এবং জীবন উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমানে ব্রাক আফগানিস্তান পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা লাইবেরিয়া তানজানিয়া উগান্ডা দক্ষিণ সুদান লিওনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংগঠন দেশ-বিদেশে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি করছে ২০১০ সালে ব্রাক তার প্রতিষ্ঠান নতুন লোগো পরিবর্তন করেছে বর্তমান বিশ্বব্যাপী একটি ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তাই সর্বোপরি বলা যায় যে ব্রাক গরীব দুঃখীদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাইতেছে ব্র্যাকের সহযোগিতার মাধ্যমে
বাংলাদেশের দরিদ্র বিমোচন হয়েছে সর্বোপরি ব্রাক গরীব এবং ভূমিহীন মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করেছে