ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি ইসলামে নারীদেরকে সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, কারণ নারীদেরকে সম্মান দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে যখন কন্যা সন্তানদেরকে মেরে ফেলা হত ঠিক তখন নারীদের মর্যাদার বেপারে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নারীদের সম্মান সবচেয়ে উপরে থাকবে।
পরবর্তীতে নারীদের সম্মান নিয়ে কেউ যেন নারীদের সম্মানহানি করতে না পারে সে ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি হাদিস ও কুরআনে বর্ণিত আছে। তবে বর্তমান এই সময়ও অনেকেই কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে অভিশাপ মনে করে । শুধু তাই নয় কন্যা সন্তান জন্ম ধরে নিলে মা এবং সন্তান এর উপর অত্যাচার করে থাকে। শুধু তাই নয় তার উপর এমন মানসিক নির্যাতন করে তবে এটা করা ঠিক নয়, জেনেও অনেকেই করছে আর এই অত্যাচার সমাজ থেকে দূর করার জন্য অনেকেই কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামী উক্তি অনলাইনে খুঁজে থাকে। সেজন্য আজকে আমরা চেষ্টা করেছি কন্যা সন্তান নিয়ে সেরা কিছু উক্তি তুলে ধরার।
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
হাদিসে বর্ণিত আছে যে প্রথম কন্যা সন্তানের বাবা হলে সে একটি জান্নাতের মালিক হলো, আর যে তিনটি কন্যা সন্তানের বাবা হল সে তিনটি জান্নাতের এই মালিক হয়ে গেল। এটা হাদিসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে আর এই কন্যা সন্তান নিয়ে হাদিসে যে সমস্ত বাণী আছে তা কন্যা সন্তান নিয়ে উক্তি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে অনেকেই, তবে কেউ কেউ কন্যা সন্তান নিয়ে সেরা উক্তি গুলো খুঁজে পায় না। সেজন্য আজকে আমরা চেষ্টা করেছি কন্যা সন্তান নিয়ে সেরা উক্তিগুলো তুলে ধরার নিচে তা দেওয়া হলো —
- মেয়ে সন্তান যে ঘরে আসে কন্যা সন্তান তিনটি পুরস্কার নিয়ে দুনিয়াতে আসেন। কন্যা সন্তানের বাবা-মা হওয়া পরম সওয়াব ও সৌভাগ্যের।
- নিঃসন্দেহে ‘কন্যা সন্তান’ বাবাদের জন্য। আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ উপহার।
- কন্যা সন্তান সবার হয় না যার হয় সে পৃথিবীর ভাগ্যবান পিতা কন্যা সন্তান আল্লাহর দেওয়া সেরা উপহার।
- হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ওই স্ত্রী স্বামীর জন্য অধিক বরকতময়, যার দেন-মোহরের পরিমান কম হয় এবং যার প্রথম সন্তান হয় মেয়ে।’
- রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার ওপর অসন্তুষ্ট ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩)
- রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান হবে, এবং সে তাদেরকে এলেম-কালাম, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে, এবং যত্নের সঙ্গে প্রতিপালন করবে ও তাদের ওপর অনুগ্রহ করবে! সে ব্যক্তির ওপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’
- যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনজন বোন আছে অথবা দু’জন কন্যা সন্তান বা বোন আছে। সে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে এবং তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেছে। তার জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৬)
- যে ব্যক্তিকে কন্যা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল হবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৩)
- যে ব্যক্তি দুইজন কন্যা সন্তানকে লালনপালন ও দেখাশুনা করল (বিয়ের সময় হলে ভালো পাত্রের কাছে বিবাহ দিল) সে এবং আমি জান্নাতে এরূপ একসঙ্গে প্রবেশ করব যেরূপ এ দুটি আঙুল। তিনি নিজের দুই আঙুল মিলিয়ে দেখালেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৪)
- উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় মেয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
- মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কন্যা সন্তান মাতা-পিতার জন্য একটি বিশেষ শ্রেষ্ট নেয়ামত।
- যে ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, সেখানে সর্বদা সৌভাগ্য বিরাজ করে। একজন কন্যা তার পিতার হৃদয়ে বাস করে এবং মায়ের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে ওঠে।
- আল্লাহ যখন বেশী খুশি হন তখনি কন্যা সন্তান দান করেন আলহামদুলিল্লাহ।
- আমাদের সমাজটা বড়ই অদ্ভুত গর্ভে কন্যা সন্তান চায় না। কিন্তু ছেলের বিয়ের জন্য সুন্দরী মেয়ে চায়।