ভ্রমন

শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের ভাড়ার তালিকা,সময়সূচি, 2024

আর্টিকেলের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে ট্রেন নিয়ে আলোচনা, আর ট্রেনের বিষয়টি হচ্ছে শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার  তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করব। শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া রুটে নিয়মিত ০৫টি ট্রেন চলাচল করে। ভ্রমণের জন্য মানুষ ট্রেন কে বেশি বেচে নেয়, কারন ভ্রমনের দিক থেকে ট্রেন একটি জনপ্রিয় পরিবহন ব্যবস্থা। কারণ ট্রেনে ভ্রমণ করতে সবারই ভালো লাগে, ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করে, যানজট বিহীন যাতায়াত করা যায়, ও অনেক কম্পিটেবল মনে হয়।

তাই আপনারা যারা শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের সময়সূচী অনলাইনে অনুসন্ধান করতেছেন, তাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আপনারা এখান থেকে শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা সম্পূর্ণ আপডেট তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই আর্টিকেলটি স্ক্রিপ্ট করে না পড়ে মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করি আপনার কাঙ্খিত তথ্যটি পেয়ে যাবেন। তবে হ্যাঁ আর কথা না বাড়িয়ে আমরা চলে যাই এখন সরাসরি মূল পর্বে।

শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনে ভ্রমণ মানুষ কেন করে:

ট্রেনে ভ্রমণ করতে সবারই ভালো লাগে কারণ ট্রেনে ভ্রমণ করার মজাটাই আলাদা অন্য পরিবহনের তুলনায়। যারা ট্রেনে একবার হলেও ভ্রমণ করেছে তারাই বলতে পারবে আসলে ট্রেনে ভ্রমণ করা অন্য পরিবহনের তুলনায় কেমন, আসলে ট্রেনে ভ্রমণ একটা মজার বিষয় আর একটা মজার বিষয় হচ্ছে ট্রেন এক ষ্টান্ড থেকে আরেক ষ্টান্ড না যাওয়া পর্যন্ত কোন ব্রেক করে না। যা যথা সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছানো যায় ট্রেনে ভ্রমন করার জন্য।

ট্রেনে ভ্রমণ করার সুবিধা সমূহ:

অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় ট্রেন হচ্ছে এমন একটি পরিবহন যা আমরা সকলেই জানি যে একটি ষ্টান থেকে ছেড়ে আরেকটি ষ্টান না যাওয়া পর্যন্ত কোন ব্রেক করে না। হ্যাঁ ব্রেক করে অনেক সময় কাজে ক্ষেত্রে তা বাদে ট্রেন নিজের মত চলতেই থাকে সেজন্য ট্রেনের ভ্রমণটা একটা অন্যরকম ফিলিংস মনে হয়। শুধু তাই নয় ট্রেনে ভ্রমণ অন্য পরিবহনের তুলনায় একটু লেট হলেও তাতে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের নাম:

শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের রুটে ০৫টি ট্রেন চলাচল করে নিয়মিত আর এই ট্রেন গুলোর নাম সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে।আপনাদের সুবিধার্থে ট্রেনের গুলোর নাম নিচে তুলে ধরা হলো —

  • পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯)
  • জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৭)
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯)
  • উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯)
  • কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩)

কুলাউড়া টু শ্রীমঙ্গল ট্রেনের সময়সূচী:

আপনি যে কোন পরিবহনের ভ্রমণ করেন না কেন আপনাকে  অবশ্যই সেই পরিবহনের সময়সূচি জানতে হবে। আর ট্রেনের সময়সূচী তো জানতেই হবে কারণ ট্রেন অন্য পরিবহন এর মত নয় ট্রেন সঠিক সময়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে দেয়। তাই ট্রেনের সময়সূচি আগে থেকে জেনে রাখতে হয় ও সময়মতো স্টেশনে পৌঁছতে হয় তাই আজকে আমরা চেষ্টা করেছি শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের সময়সূচি তুলে ধরার —

শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া  ট্রেনের সময়সূচী
সিরিয়াল নং ট্রেনের নাম ছাড়ার সময় পৌছানোর সময় ছুটির দিন
০১ পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) ১০.৩০ ১১.২৭ মঙ্গলবার
০২ জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৭) ১৬.১০ ১৭.২৭ নাই
০৩ উপবন এক্সপ্রেস (৭১৯) ১৫.২৬ ১৬.২৬ সোমবার
০৪ কালনী এক্সপ্রেস (৭৩৯) ০১.২৭ ০২.৪০ বুধবার
০৫ কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩) ১৮.৫৭ ১৯.৫৭ শুক্রবার

শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের ভাড়ার তালিকা:

আমরা দেখি অনেকেই শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া  ট্রেনের ভাড়ার তালিকা জানে না তখন তারা অনলাইনে সার্চ করে থাকে।তাদেরকে বলবো আপনার বর্তমান ঠিক জায়গায় রয়েছেন। আমরা এখানে চেষ্টা করেছি শ্রীমঙ্গল টু কুলাউড়া ট্রেনের ভাড়ার তালিকা তুলে ধরতে।

সিরিয়াল নং আসন বিন্যাস ভাড়ার তালিকা
০১ শোভন ৪৫ টাকা
০২ শোভন চেয়ার ৫০ টাকা
০৩ প্রথম সিট ৯০ টাকা
০৪ প্রথম বার্থ ১১০ টাকা
০৫ স্নিগ্ধা ১১৫ টাকা
০৬ এসি সিট ১৩০ টাকা
০৭ এসি বার্থ ১৮০ টাকা

ট্রেনের নিয়ম কানুন সমূহ:

ট্রেনের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যা আমাদের সকলের জানা দরকার বা উচিৎ ট্রেনের নিয়ম কানুন গুলো নিচে তুলে ধরা হলো —

  • টিকিট ছাড়া কেউ ট্রেনে উঠবেন না।
  • নিজের মালামাল নিয়ে দায়িত্বে রাখুন।
  • টিটি  টিকিট চেক করার পরেও টিকিট টি সরবরাহে রাখুন যাতে স্টেশন থেকে বের হতে ঝামেলা না হয়।
  • বিনা কারণে ট্রেনের স্টপচেন টানবেন না।
  • অপরিচিত কারো দেওয়া কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
শেষ কথা: পরিশেষে একটি কথা যে, যদি কোন তথ্য মিছিং থাকে তাহলে আপনারা কমেন্টে জানাতে পারেন।আর একটি কথা ভাড়া কিন্তু অনেক সময় চেন্জ হয়ে যায়,কারণ অনেক সময় তেলের দাম বেড়ে যায় সে কারনে বেড়ে যায় গাড়ির ভাড়ার দামও তাই আপনারা টিকিট কাটার আগে দামটা টিকিট কাউন্টার থেকে জিঞ্জেস করে নিবেন।

Nurzamal

আমি মো: নুরজামাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূণ করে ২০২০ সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নানাধরনের দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে জীবনকে পরিপূণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী।নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী।তাই আমি ইনফোবিডি একাত্তর ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button