আজকে আমরা এই আর্টিকেলে তুলে ধরেছি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের বাঙ্গালীদের একটি ঐতিহ্যবাহী দিন হিসেবে পরিচিত আর তা হচ্ছে বাংলা বছরের শুরুর দিক প্রথম পহেলা বৈশাখ। আর এই পহেলা বৈশাখ নিয়ে বাঙ্গালীদের মাঝে চরম লক্ষ্য করা যায়। আর এই পহেলা বৈশাখ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্থাৎ বহুল প্রচলিত ফেসবুকে অনেক জনই স্ট্যাটাস দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কিন্তু অনেকেই সাজিয়ে গুজিয়ে সুন্দরভাবে স্ট্যাটাস দিতে পারে না। মূলত তাদের এই জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি তাই আপনারা আর্টিকেল ক্রিপ্ট করে না পড়ে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পহেলা বৈশাখ বাঙালিদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক উৎসব বলে বিবেচিত পহেলা বৈশাখ নিয়ে বাঙালিরা অনেক ধরনের খাবারের আয়োজন করে থাকে। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছ, পান্তা ভাত, তো হতেই হবে তার সাথে অনেক পথের ভর্তা। বিশেষ করে ওই দিনটি বাঙালিরা অনেক ধরনের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেলা বিভিন্ন পার্ক ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ করে বেড়ায়।
বাঙালি ইতিহাসে পহেলা বৈশাখ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনের মধ্যে দিয়েই বাঙালি তার জীবনের নতুন বছরে সূচনা করে থাকে। এই দিনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি বাঙালি বিভিন্ন রকম আয়োজন করে থাকে। পহেলা বৈশাখ কে ঘিরে এপার বাংলা ও ওপার বাংলায় বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় প্রতিটি মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি নিজেদের আনন্দ হাসি ক্রয় করে থাকে। নতুন বছর পহেলা বৈশাখের মাধ্যমে সৌন্দর্য প্রিয় প্রতিটি মানুষ নিজের মনকে সুন্দর করার নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা গুলোকে গ্রহণ করে থাকে।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস
পহেলা বৈশাখ সবচেয়ে বাঙ্গালীদের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব আর এই উৎসব নিয়ে সবার মাঝে এক অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করে। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বাঙালিদের একটি সবচেয়ে বড় উৎসব কারণ বাঙ্গালীদের বছরের শুরুর দিকে পহেলা বৈশাখ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আর এই উৎসবে নানা ধরনের রং, ছবি আঁকা, বিভিন্ন ধরনের মেলা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে। আর এই স্ট্যাটাস গুলো অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করে তাদেরকে বলবো আপনারা এখান থেকেই পহেলা বৈশাখ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে পারেন। নিচে তা দেওয়া হল—
নতুন সূর্য, নতুন প্রান। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন উষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচছা।
নতুন আশা নতুন প্রাণ, নতুন হাসি নতুন গান,নতুন সকাল নতুন আলো,নতুন দিন হোক ভালো, দুঃখকে ভুলে যাই, নতুনকে স্বাগত জানাই শুভ নববর্ষ
নতুন এই দিন,নতুন এই আলো,নতুন এই বছর ,নতুন কিছু ভালো ,নতুন কিছু কথা ,নতুন কিছু আশা ,নতুন করে জীবন নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা। শুভ নববর্ষ
বছর শেষের ঝরা পাতা বললো উড়ে এসে, একটি বছর পেরিয়ে গেলো হাওয়ার সাথে ভেসে, নতুন বছর আসছে তাকে যত্ন করে রেখো, স্বপ্ন গুলো সত্যি করে খুব-ই ভালো থেকো।
তুন সূর্য, নতুন প্রান। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন উষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। সবাইকে নববর্ষের শুভেচছা।
নিশি অবশান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত আমি আজি ধূলিতলে জীর্ন জীবন করিলাম নত | বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রত খমা কর আজিকের মত পুরাতন বষড় সাথে পুরাতন অপরাধ যত হর্দম হৈ হৈ, বৈ এল ঐ, কলার পাতায় ইলিশ পান্তা | ঈসান কোনে মেঘের বার্তা | নববর্ষের শুভেচছা।
পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রান। পুরোনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট! নতুন বছরের নতুন যাত্রা হয় যেন সুখ আর বিনোদনময়! এই কামনায় তোমাদের জানাই পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা!
ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সব মলিনতা । বৈশাখের সকালে, লাগুক প্রাণে আনন্দের এই স্পর্শ, মন থেকে আজ জানাই তোমায় “শুভ নববর্ষ। নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ। মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি। শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি।
দিনগুলি যেমনই হোক, ঠিকই যায় কেটে। তবুও বল কি লাভ, পুরনো স্মৃতি ঘেটে। এ বছর পূর্ন হোক, তোমার সকল আশা। নববর্ষের এটাই আমার প্রত্যাশা। শুভ নববর্ষ
আকাশের সব নীল দিয়ে, প্রভাতের সব লাল দিয়ে, হৃদয়ের সব অনুভুতি দিয়ে, অরন্যের সব সবুজ দিয়ে, সমুদ্রের সব গভীরতা দিয়ে তোমাকে জানাই শুভ নববর্ষ
তোমার জন্য সকাল দুপুর, তোমার জন্য সন্ধ্যা, তোমার জন্য সকল গোলাপ, সব রজনীগন্ধা, তোমার জন্য সব সুর, তোমার জন্য ছন্দ, নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ শুভ নববর্ষ
পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি
পহেলা বৈশাখ নিয়ে পন্ডিত – ব্যক্তিত্বরা অনেক ধরনের বাণী বা উক্তি দিয়েছেন। তাই আমরা সেরা কিছু উক্তি এখানে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি বৈশাখ নিয়ে
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়
– মাকসুদ
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দিন চলে যায় ঋতুর খেয়ায়, আসে ও যায় বছর মাস কারো কাটে কষ্টে আবার কেউ বা করে সুখেই বাস বদল খেলায় রঙিন আলোয় সুবজ পাতায় লাগে দোল বছর ঘুরে বোশেখ আসে একতারা ও বাজে ঢোল।
– শাহানারা রশিদ
ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে প্রতিটি বারে সেই সে নবীন পহেলা বৈশাখ… শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন
– সংগৃহীত
এখন আমার জেগে ওঠার সময় এখন আমার সময় পথে নামার এখন সময় নতুন সূর্যের.. এখন সময় পূর্বপানে চাওয়ার
– সংগৃহীত
শোনা যায় ভোরের আযান আর কোকিলের কলতান আর ফেসবুকে জ্বল-জ্বলন্ত নববর্ষের জয়গান
– সংগৃহীত
কী যে খুঁজি, নিজেই পাই না বুঝে হেলায় ভুলে, খেয়াল খুলে দেয়াল মরি জুঝে। আমার দিন কেটে যায় খুঁজে!
– সংগৃহীত
অপেক্ষা – একটি রাত্রিশেষের অপেক্ষা – একটি সূর্যোদয়ের আকাঙ্ক্ষা – চিরন্তন নতুনত্বের সময় যখন – একটি নববর্ষের
– সংগৃহীত
এক হালি ইলিশের দাম ৪০ হাজার টাকা। গ্রামের মৃৎশিল্পীর পণ্য, বাঁশ ও বেতশিল্পীর কাজ, বিন্নি ধানের খই, সাজ-বাতাসার ব্যবসায়ীদের কী হবে? নিজেকে গ্রাম্য ও রক্ষণশীল পরিচয় দিতে আমার লজ্জা নেই। বৈশাখী মেলায় ঘুরে কেনাকাটার যে আনন্দ ‘হোম ডেলিভারি’তে কি তার চেয়ে বেশি সুখ?
– সৈয়দ আবুল মকসুদ
“আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে ।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর