Skip to content

ঘুম না আসার কারন, ও প্রতিকার, জেনে নিন 2024 এর সেরা উপায়

  • by

আসসালামু আলাইকুম আজকে আমরা খুবই  একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি, তা হচ্ছে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ঘুম আর এই ঘুম না আসার কারণ আমরা কেউ কেউ জানিনা আর ঘুমা হচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সঠিকভাবে প্রতিদিন ঘুমালে শরীরের মধ্যে অসুস্থ সৃষ্টি হয় তাই একজন মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন মিনিমাম হলেও চার থেকে পাচ ঘন্টা ঘুমাতে হয়, তা না হলে শরীর দিনদিন অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই আমাদেরকে প্রতিদিন ঘুমাতে হবে আর ঘুম হচ্ছে এমন একটি বিষয় ঘুম কম হলে হজম শক্তি কমে যায় শরীর তখন দুর্বল হয়ে যায়। তাই আমরা এই পোস্টে তুলে ধরেছি ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার চলুন বন্ধুরা জেনে নেয়া যাক

ঘুম না আসার কারণ:

ঘুম না আসার কতগুলো কারণ আছে সেজন্য আমাদেরকে জানতে হবে ঘুম আসে না কেন। আর আমরা নিচে চেষ্টা করেছি ঘুম না আসার  কারনগুলো —

ঘুম না আসার প্রথম কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত টেনশন করা

ঘুম না আসার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে যে কোন বিষয় নিয়ে টেনশন করা বা চিন্তা করা ।তাহলে আপনার ঘুম আসবেনা যতই চেষ্টা করেন না কেন সহজে ঘুমাতে পারবেন না। আপনাকে তখন ঘুমের ঔষধ বা টেনশনের ঔষধ সেবন করতে হবে, তা না হলে আপনি সেদিন রাত্রে ঘুমাতে পারবেন না ।

ঘুম না আসার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত নেশা করা

আমরা অনেক সময় অতিরিক্ত নেশা করে থাকি তখন আর ঘুম সহজে আসে না তখন আমরা কি করি ঘুম না আসার কারণে ছটফট করে বেড়ায় তাই ঘুম না আসার এটিও একটি প্রধান কারণ ।

ঘুম না আশার তৃতীয় কারণ

 তা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো চোখে যখন ঘুম চলে আসে তখন না ঘুমিয়ে পরে ঘুমানো, তাতে করে পড়ে আর ঘুম চোখে আসতে চায় না এই বদ অভ্যাস পরিহার করতে হবে আর নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে ।

ঘুম না আসার চতুর্থ কারণ

আমরা বেশিরভাগ সময় শোয়ার পর মোবাইল চালিয়ে থাকি, এবং অনেকক্ষণ ধরে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় দিয়ে থাকি এবং তাতে করে আমাদের ঘুম চোখে আসার পরেও আমরা ঘুমিয়ে পড়ি না ফেসবুকে ব্যস্ত থাকি এটাও একটি ঘুম না আসার কারণ ।

ঘুম না আসার পঞ্চমকারণ মোবাইল

আমরা অনেক সময় মোবাইল বালিশের পাশে অথবা মাথার কাছেই রেখে ঘুমিয়ে যায় কিন্তু ঘুম আমাদের ভালো হয়না তার কারণ হচ্ছে মোবাইল বালিশের সাথে বা মাথার কাছে রাখবেন না ।এতে করে মস্তিকের সমস্যা হয় তাই মোবাইল মাথার পাশে রাখবেন না ।

ঘুম না আসার প্রতিকার:

ঘুম না আসার অনেকগুলো কারণ আছে আর এই ঘুম না আসার তেমনি প্রতিকার আছে তাই নিছে ঘুম না আসার প্রতিকার গুলো দেওয়া হলো —

ঘুমানোর জায়গা

আপনি যে বিছানায় বা খাটে ঘুমাবেন সেটা আগে আপনাকে দেখতে হবে কারণ আপনার ঘুমানোর জায়গা যদি ভালো না হয় ধুলা বালি থাকে তাহলে আপনার ঘুম আসবে না। আপনাকে ঘুমানোর আগে অবশ্যই আপনার ঘুমানোর জায়গা টি ঝাড়ু দিবেন যেন বালু বা ধুলা না থাকতে পারে ।

বেট সিট পরিষ্কার

আপনার ঘুম না আসার আরেকটি প্রতিকার হল যে আপনার বিছানার বেডশীট টি পুরস্কার আছে কিনা, না গন্ধ করতেছে ।সেটা আপনাকে দেখতে হবে আর বিছানার বেটশীট নিয়মিত ধোলাই দিলে বিছানায় শুয়ে অনেক আরাম পাওয়া যায় তাতে করে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে।

শীতল স্থান

চোখে ঘুম আসার আরেকটি প্রধান প্রতিকার সেটা হল শীতল স্থান কারণ আপনি যে জায়গায় ঘুমাবেন সেই জায়গাটি শীতল যেন হয় তাহলে আপনার ঘুম সহজে চোখে চলে আসবে ।

মোবাইল ফোন

আমরা অনেক সময় ঘুমানোর মোবাইল চালিয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা নাটক গেম facebook-এ ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আমাদের চোখে যে কখন ঘুম চলে আসে তখন আমরা মোবাইল ফোনটি পাশে রেখে ঘুমিয়ে যাই। কিন্তু এটা ঠিক না মোবাইল ফোনের কারণে আমাদের ঘুম সম্পূর্ণ হয়না। তার আগে আমরা জেগে যাই কারণ হচ্ছে মোবাইল এমন কিছু ম্যাগনেট আছে যেটা মানুষের শরীরের হরমোন এর ক্ষতি করে থাকে সেজন্য আপনারা ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না ও বালিশের পাশে অথবা মাথার পাশে রাখবেন না।

টেনশন বা চিন্তা না করা

আমাদের কে অবশ্যই চিন্তা করা যাবে না কারণ চিন্তা করলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আর দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের চোখে ঘুম আসেনা তাই আপনারা ঘুমানোর আগে অবশ্যই টেনশন করবেন না তাহলে দেখবেন আপনার ঘুম সহজে চলে আসবে।

গান শোনা

আপনার যদি একে বারে ঘুম আসতে ছেনা তাহলে আপনি আপনার পছন্দের শিল্পীর কয়েকটি গান শুনুন দেখবেন চোখে ঘুম চলে আসছে ।

পানি খাওয়া

আপনি অবশ্যই ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিবেন তাতে করে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং অনেক আরাম পাবেন ঘুমিয়ে ।

বই পড়া

ঘুম না আসলে প্রিয় কোনো বই পড়ুন। এতে করে আপনার মনোযোগ সম্পূর্ণরূপে বইয়ের জগতে চলে যাবে এবং সারাদিনের সকল দুশ্চিন্তা মাথা থেকে বের হয়ে যাবে। একটু পর দেখবেন ঘুম চলে এসেছে।

শেষ ধাঁপ

আপনার যদি একেবারে ঘুম না আসে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ।

শেষ কথা: পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই যে, কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ঘুম না পারে তাহলে সে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাবে ও  কঙ্কাল হয়ে যাবে। তাই আপনারা প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমাবেন ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *