প্রিয় পাঠকগণ ভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ে আমরা যারা প্রিপারেশন নিচ্ছেন এবং এই প্রিপারেশনের মাধ্যমে যখন একটি ভালো ইউনিভার্সিটিতে চান্স পায়, আর এই চান্স পাওয়া নিয়ে বর্তমান সময়ে যেহেতু ফেসবুক এর সময় সেহেতু এই ইন্টারনেটে র যুগে অনেকেই ভার্সিটি চান্স পাওয়া নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে থাকে। আর তাই আমরা দেখেছি অনেকেই অনলাইন অর্থাৎ গুগলে সার্চ করে থাকে ভার্সিটি চান্স পাওয়ার পর স্ট্যাটাস খুজে থাকে।
প্রতিটি ছাত্র ভাইয়ের স্বপ্ন থাকে বাংলাদেশের যেকোনো একটি স্বনামধন্য ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া বা চান্স নেওয়া। আর তাই অনেক কষ্টের মাধ্যম তা অর্জন করতে হয়, যা বলার বাহুল্য রাখে না। ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া নিয়ে কষ্টের যে দিনগুলো ছিল সে সময় গুলো এক মুহূর্তে সুখে পরিণত হয় যখন একটি ভালো ইউনিভার্সিটি চান্স হয়।
ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়া নিয়ে কিছু কথা
বন্ধুরা আপনারা যারা ইউনিভার্সিটি তে চান্স পেয়েছেন আপনারা সবাই ভালো করে জানেন যে, একটি ইউনিভার্সিটি তে চান্স নিতে গেলে কথা না কষ্ট করতে হয়। আর সেই স্বপ্নের ইউনিভার্সিটিতে যখন একবার চান্স হয়ে যায়, তখন জীবনের লাইফ স্টাইলটা অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। তবে এমন ভাবে পরিবর্তন হওয়া যাবে না, যে তোমার আচরণে ছোট ভাই, বড় ভাই, কষ্ট না পায়। আপনি ভার্সিটিতে অনেক কষ্টের মাধ্যমে চান্স নিয়েছেন আপনি বড়দের কাছ থেকে দোয়া অথবা আশীর্বাদ নিয়ে ভার্সিটি লাইভ শুরু করে দিবেন।
ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া নিয়ে স্ট্যাটাস
বর্তমান এই আধুনিক যুগে সবাই যেকোন ভালো বিষয়ে সাকসেস হওয়ার পরে স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে facebook টুইটার instagram ইত্যাদিতে তবে অনেকেই ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর যেভাবে স্ট্যাটাস তুলে ধরতে হয়, সেভাবে লিখতে পারে না। সেজন্য তাদেরকে বলবো আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে নিচে ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া নিয়ে স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো —
দুঃসময়ের অন্ধকার কখনো কখনো আমাদের জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তটির দ্বার খুলে দেয়।
জীবন মানে নিরন্তর ছুটে চলা পদে পদে বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতায় রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়া, সে ক্ষত মুছে আবার প্রবল আগ্রাসে ঝাঁপিয়ে পড়া সংগ্রাম এবং সাফল্য এই তো জীবন
অনেক কষ্ট সাধনার পরে জীবনের একটি প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্যর মুখ দেখতে পেলাম স্বপ্নের ইউনিভার্সিটির চান্স পাওয়ার মাধ্যমে
আমরা অনেকসময় ভুলে যাই একটু আন্তরিকতার ছোঁয়া, একটা প্রাঞ্জল হাসি, কিছু সুন্দর কথা, সুন্দর ব্যবহারের কী অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে একটা মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার।
বাঁচার মতো বাঁচতে জানলে জীবনটা অসম্ভব রোমাঞ্চকর একটি অভিযান, আর একদম ঝুঁকিহীন জীবন সে তো মুরগির খোঁয়াড়ে ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকা।
ঘুমিয়েই কি কেটে যাবে একটি জীবন? জীবন হোক কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর, ছুটে চলার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কবরের জীবন চিরকাল পড়ে রয়েছেই।
জীবনটা উপভোগ করতে হয় প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে, প্রতিটি ছোট্ট ছোট্ট স্মৃতি আনন্দে উপলক্ষ্যে। যত বেশি হাসবে, যত কম অভিযোগ করবে, জীবনটা ততোই ভরে উঠবে সুখে, পরিতৃপ্তিতে।
প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো।
লক্ষ্যের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও যখন ব্যর্থতার তিক্ত স্বাদ পেতে হয়- তাতে দুঃখের কিছু নেই। এই কঠোর পরিশ্রমের ভেতর দিয়ে তুমি হয়ে উঠেছ আরো শক্তিশালী, আরো অভিজ্ঞ, আরো দক্ষ- এটাই তো সত্যিকারের বিজয়।
তোমার মেধার ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু তোমার চেয়ে বেশি পরিশ্রম অন্য কেউ করবে সেটি তো হতে দেওয়া যায় না- পরিশ্রম দিয়ে মেধার ঘাটতি অবশ্যই পুষিয়ে নেওয়া যায়, আমিই তার উদাহরণ।
তুমি ভুল করছো এতে লজ্জার কিছু নেই। বারবার ভুল করা একটি জিনিসই প্রমাণ করে- তুমি হাল ছাড়োনি, তুমি চেষ্টা করে চলেছ।
জীবনে আমি হাজার হাজার ভুল করেছি, হাজারবার হোঁচট খেয়েছি- এবং সেটি নিয়ে আমি গর্বিত প্রত্যেকটি ভুল, প্রত্যেকবার হোঁচট খাওয়া আমাকে গড়ে তুলেছে আরো শক্তিশালী, আরো পরিণত করে।