প্রিয় পাঠকগণ আসসালামু আলাইকুম পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতেছি, আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি। আজকের আর্টিকেলটি পবিত্র লাইলাতুল কদর নিয়ে, পবিত্র লাইলাতুল কদর মুসলিমদের একটি বড় ইবাদতের রাত এই রাতে নবী করীম সাঃ বলেছেন যার নসিবে এই রাত আল্লাহ তায়ালা কবুল করবে সে হাজার মাসের সওয়াব একদিনই তার আমল নামায় আল্লাহ তাআলা লিখিবদ্ধ করে দিবে। তাই আল্লাহ তাআলা পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশ রজনীর বিজোড় রাত্রিতে তাজবি তাহলিল ও নামাজ আদায় করতে হবে। আর এই রাত নিয়ে পবিত্র হাদীস শরীফে অনেক বর্ণনা দেওয়া আছে।
পবিত্র লাইলাতুল কদর হচ্ছে মুসলিমদের বড় একটি ইবাদতের রাত আর এই রাত যার কপালে একবার আল্লাহ তা’আলা নসিব করে দিবে, সে হাজার মাসের সওয়াব একদিনই পাবে। লাইলাতুল কদর নিয়ে অনেকেই ২৭শা রমযানকে কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। যে এ রাত্রিতে পবিত্র লাইলাতুল কদর যায়, আর এই লাইলাতুল কদর নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে আর এই হাদিসগুলো অনেকেই জানে না। তাদেরকে বলব আপনারা এই আর্টিকেল থেকে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হাদিস গুলো সংগ্রহ করুন এবং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করুন লাইলাতুল কদরের রাতে।
একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন, রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং:-২০১৭রাসূল (সা.)
আরও বলেনঃ রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। (মুসলিম হাদিস নং:-১১৬৯)
রাসূল (সা.) বলেনঃ “শবে কদরকে নির্দিষ্ট না করার কারণ হচ্ছে যাতে বান্দা কেবল একটি রাত জাগরণ ও কিয়াম করেই যেন ক্ষ্যান্ত না হয়ে যায়।
এবং সেই রাতের ফজিলতের উপর নির্ভর করে অন্য রাতের ইবাদত ত্যাগ করে না বসে। তাই বান্দার উচিত শেষ দশকের কোন রাতকেই কম গুরুত্ব না দেয়া এবং পুরোটাই ইবাদাতের
মাধ্যমে শবে কদর অন্বেষণ করা
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃএকদা আমি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি তবে আমি কি করব? তখন রাসূল (সা.) আমাকে এই দুয়া পাঠ করার জন্য বললেনঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি” । (তিরমিজি, হাদিস নং:-৩৫১)
অন্য বর্ণনায় আছে-তোমরা তা শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে তালাশ কর। [বুখারী: মুসলিম: ১১৬৯]
ইবনু উমার (রা.) হতে বর্ণিত যে, রাসূল (সা.)-এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমাযানের শেষের সাত রাত্রে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়। (এ শুনে) আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে। [সহিহ মুসলিম, আহমাদ ]
আবু সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমরা রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে রমাযানের মধ্যম দশকে ই’তিকাফ করি। তিনি বিশ তারিখের সকালে বের হয়ে আমাদের কে সম্বোধন করে বললেনঃ আমাকে লাইলাতুল ক্বদর (-এর সঠিক তারিখ) দেখানো হয়েছিল পরে আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে তা সন্ধান কর।